নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের ঘটনাকে কেন্দ্র চার সন্তানের গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে হায়েনাদের ঐ পৈশাচিক উল্লাসে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে সারাদেশ। ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর রেস কাটতে না কাটতেই আবার কুমিল্লায় মামলার রায় পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চার সন্তানের জননী এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুই ধর্ষককে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- আনিছুর রহমান (৩৬) ও লিটন বিশ্বাস (৩০)।
জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার অধীন লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে এক আইনজীবীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের ৪ সন্তানের এক জননী তার স্বামী আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। এ মামলার রায় ওই মহিলার পক্ষে পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লার আদালতের আইনজীবীর সহকারী লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম ওই মহিলাকে গত ২৮ ডিসেম্বর শানিচোঁ গ্রামের এক নির্জন বাড়িতে নিয়ে আসে। নির্জন সেই বাড়িতে দিনের আলোয় তাকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই বাড়ির দারোয়ান বরিশালের মুলাদি উপজেলার কাজীরচর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে লিটন বিশ্বাস, আরেক আইনজীবী সহকারী কুমিল্লা মহানগরীর আদালত সংলগ্ন কাপ্তান বাজার এলাকার আশেক আলীর ছেলে আনিছুর রহমান মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই খাদেমুল বাহার জানান, এ মামলার আসামি আইনজীবী সহকারী আনছিুর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।